আবু মুত্তালিব মতি, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে জেলা প্রশাসক, সহকারি জজ, ইউএনও, সহকারি কমিশনার ভুমি, তহসিলদার ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সিল জাল করে নকল কাগজপত্র সৃষ্ঠির মাধ্যমে জালিয়াতি ও প্রতারনা ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্ঠি হয়েছে। এই জালিয়াতি ঘটনায় পুলিশ এচাহাক আলী খন্দকার নামের একজনকে গ্রেফতার ও তার বাড়ি থেকে বিপুল নকল সিল ও জাল কাগজপত্র উদ্ধার করলেও ঘটনার সাথে জড়িত অনেকেই এখন গা ঢাকা দিয়ে ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে বলে বিভিন্ন মহলের প্রাপ্ততথ্যে জানা গেছে। এছাড়া নকল সিল ব্যবহার করে এসব জালিয়াতির চক্রের নিকট থেকে যারা কাগজপত্র তৈরী করে নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেছেন তাদের মধ্যেও সৃষ্ঠি হয়েছে আতংক।
জানাযায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবত সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নামের নকল সিল তৈরী করে প্রতারনার মাধ্যমে নকল দাখিলা, খতিয়ান, এম.আর.আর, সি.এস, জমির খাজনার রশিদ, ব্যাংকসহ নানা সরকারি দপ্তরের ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্ঠি করে সাধারণ মানুষের নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে আসছিল। এ ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা হকের নেতৃত্বে শিয়ালশন গ্রামে এচাহাক আলী খন্দকারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ৩ শতাধিক নকল সিল, খাজনার রশিদসহ বিপুল পরিমান জাল কাগজপত্র জব্দ করেন। এসময় এচাহাক আলী খন্দকারকেও গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন উপ-সহকারি ভুমি কর্মকর্তা রায়হানা জান্নাত বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এই জালিয়াতি চক্রের মুলহোতা ধরা পড়লেও এর সাথে জড়িত আরও অনেকই এখন গা ঢাকা দিয়ে ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে।
ওই চক্রের নিকট থেকে নকল সিল ব্যবহার করে যারা কাগজপত্র তৈরী করে নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেছেন তাদের মধ্যেও সৃষ্ঠি হয়েছে আতংক। এঘটনায় গ্রেফতারকৃত এচাহাক আলী খন্দকারকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জালিয়াতি চক্রের সন্ধান মিলবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। মামলার তদন্তকারি উপ-পরিদর্শক ফজলুর হক জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে, এই ঘটনার সাথে কেউ জড়িত রয়েছে এমন তথ্য পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।